চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
পোশাক রফতানি
তৈরি পোশাক রফতানির আড়ালে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। পাচারের সাথে জড়িত ১০টি প্রতিষ্ঠানকেও শনাক্ত করেছে সংস্থাটি। ফ্রান্স, কানাডা, রাশিয়া, স্লোভেনিয়া, পানামাসহ বিভিন্ন দেশে এই অর্থ পাচার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মে মাসে পোশাক রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছে ৪ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) পরবর্তী সময়ে তৈরী পোশাক (আরএমজি) রফতানিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে। ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পোশাক আমদানি বেড়েছে ৩৫.৬৯ শতাংশ।
মহাসড়কে তৈরি পোশাকের কার্ভার্ডভ্যানে চুরি এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে রফতানি আদেশ কমছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতারা। তারা বলেছেন, চুরি বন্ধ না হলে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) একজন পরিচালক বলেছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মাসে প্রধান দেশগুলোতে বাংলাদেশের রফতানি ‘উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি’ পেয়েছে।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশী পোশাক রফতানির প্রধান গন্তব্য বা বৃহৎ আমদানিকারক দেশগুলোতে উৎসাহব্যঞ্জক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডার পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারগুলোতেও রফতানিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
চলতি বছরের ৮ মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ছয় দশমিক ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক রফতানি করেছে, যা গত ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ৫৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশের পোশাক রফতানি ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে দেখছেন, চীনা পোশাক শিল্পের শেয়ার কমে যাওয়ায় ইউরোপ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সম্ভাব্য বাজার তৈরি।